SADAT HOSSAIN
সাদাত হোসাইন এর জনপ্রিয় রোম্যান্টিক কবিতার কালেকশন
সাদাত হোসাইন মাদারীপুরের কালকানিতে ২৯ জুন ১৯৮৪ সালে জন্ম গ্রহন করেছেন। একজন আলোকচিত্রী, লেখক, কবি ও চলচ্চিত্র নির্মাতা। তিনি নৃবিজ্ঞান নিয়ে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর করেছেন। এ পর্যন্ত প্রকাশিত সাদাত হোসাইনের বইয়ের সংখ্যা ২৬ টি যার মধ্যে রয়েছে ১৩ টি উপন্যাস । বর্তমানে তিনি চলচিত্র জগতেও তাঁর আবির্ভাব ঘটিয়েছেন। তিনি ২০১৯ সালে ‘গহীনের গান’ সিনেমা দিয়ে তিনি চলচিত্র অঙ্গনে প্রবেশ করেন।
১.
যেতে যেতে মনে হয়, কোথায় যাবো?
তোমার মতো কোথাওতো আর কেউ নেই,
সকলেই বুকে পোষে নদী,
তবু সব নদীতে তো আর ঢেউ নেই!
২.
মিটে গেলে সব লেনদেন আর হয়ে গেলে সব শেষ,
তাকিয়ে দেখি, সহজ হিসেব ভুল করা অভ্যেস।
৩.
কোথাও একটা পোস্টবক্স নেই, অথচ বুকের ভেতর চিঠি জমে জমে মেঘের মিনার,
কোথাও একটা ঠিকানা নেই, অথচ নীল খাম জমে জমে, ভেসে যায় বুকের কিনার।
৪.
মেঘের মতো ভার হয়ে রয় বুক,
মেঘের মতো থমথমে কী ব্যথা!
মেঘ তো তবু বৃষ্টি হয়ে ঝরে,
আমার কেবল জমছে আকুলতা।
৫.
জানে শুধু জল, চোখ ছলছল
দায় নেই কারো তাই লুকায় আঁচল।
অভিমানী তুই, পাবি না কিছুই
মিছেমিছি মুছে যাবে চোখের কাজল।
৬.
কোথাও একটা পোস্টবক্স নেই, অথচ বুকের ভেতর চিঠি জমে জমে মেঘের মিনার,
কোথাও একটা ঠিকানা নেই, অথচ নীল খাম জমে জমে ভেসে যায় বুকের কিনার।
৭.
মানুষ কতকিছু জমায়!
পুরনো ডাকটিকেট, অচেনা আধুলি, স্মৃতির রুমাল,
অথচ আমি জমাই উপেক্ষা।
একজীবনে তোমার জন্য যতটা অপেক্ষা আমি বুকে পুষে রাখি, তার সব ফিরে আসে উপেক্ষা হয়ে।
আমি সেই উপেক্ষা জমাতে জমাতে পরিপূর্ণ হয়ে উঠি।
৮.
আমাকে হারাতে দিলে নিখোঁজ বিজ্ঞপ্তিতে ছেয়ে যাবে তোমার শহর!
৯.
আমি ভালো রয়েছি এখন,
নিভে গেলে আলো, জ্বেলে দেই মন।
১০.
মুখ গুঁজে রাখা উট পাখিদের ভীড়ে,
কে ওই তাকায় উঁচু করে তার গ্রীবা,
এখানে প্রলয় আসন গেড়েছে ভীষণ,
যায় যাক পুড়ে দেবালয়ও তাতে কী বা!
চোখ মুদে থাকি, বেঁধে রাখি মুখ,
বেঁচে থাকি একা একা,
আমার কলমে মরিচা পড়ুক, নিষিদ্ধ হোক লেখা।
১১.
বৃষ্টি লিখবো বলে, কাব্য-কৌতূহলে, শব্দ খুঁজি,
অথচ দু চোখ জানে, কী ভীষণ অভিমানে,
বৃষ্টি বলতে আমি তোমাকেই বুঝি!
১২.
তোমাতেই বাঁচি, জলে ভাসি, হাসি, তোমাতেই ভালোবাসি।
তোমাতেই দিন, জনমের ঋণ, তোমাতেই ফিরে আসি।
তোমাতেই ভাবি, তোমাতেই কাঁপি, তোমাতেই শুরু শেষ,
এ হৃদয় জানে, প্রার্থনা মানে, আমার বাংলাদেশ!
১৩.
এমন বিষণ্ণ দিন শেষে
যদি খানিক আঁধার এসে,
ভীষণ আপন হয়ে বসে
তোমার আঙুলগুলোর ফাঁকে?
তখন আমার আঙুল ছাড়া
তুমি খুঁজবে কোথায় কাকে?
১৪.
শোনো কাজল চোখের মেয়ে, আমি তোমার হবো ঠিক, তুমি ভীষণ অকূল পাথার, আমি একরোখা নাবিক।
১৫.
তাড়িয়ে দিয়ো আমায়, নিশুতিরাতের তারা,
তাড়িয়ে দিও আকাশ, তাড়িয়ে দিও মেঘ,
আমারও খুব পা বাড়িয়ে, হারিয়ে যাবার তাড়া।
রাত্রি বলেই অন্ধকারে, আমার ভীষণ ভয়,
যদি ভুলে যাওয়া স্মৃতির সাথে হঠাৎ দেখা হয়,
মানুষ জানে, বাড়লে রাত্রি, মানুষ একা হয়!
১৬.
আমি ভীষণ একলা থাকা মানুষ, আমি ভীষণ আমার ভেতর থাকি,
যত্ন করে খুব খেয়ালে রোজ, 'আমি'টাকে আমার ভেতর রাখি।
আমি ভীষণ স্মৃতির খেরোখাতা, মলাট জুড়ে হাজার আঁকিবুঁকি,
আমি ভীষণ একলা থাকা মানুষ, 'আমি''টাকে 'আমার' ভেতর রুখি।
১৭.
যারা স্বপ্নটা বারবার হেরে হেরে, হারিয়ে,
নীল-সাদা পতাকাটা তবু ধরে বাড়িয়ে,
আকাশের দিকে চেয়ে চুপি চুপি বলে যায়,
ভালোবাসা মানে হলো, যুক্তির 'বেলা' যায়।
তারা জানে ভাঙা মনও আড়চোখে যে তাকায়,
আকাশ কি সেজে আছে নীল-সাদা পতাকায়?
১৮.
আমি একদিন কান্না হবো
নীল আকাশের কষ্ট ছুয়ে সমুদ্দুরে বৃষ্টি হবো ।
হারিয়ে যাওয়া সেই তো ভালো
যেমন ছিলাম রোজ থেকেও -
তেমন করেই হারিয়ে যাবো
আমি একদিন নিঁখোজ হবো ।
১৯.
আমি একদিন পাখি হবো
একলা আকাশ একলা ডানায় চুপটি করে পাড়ি দেবো
সঙ্গে নেবো গোপন কথা,
ছোট্ট বুকের বিশাল ব্যথা
ডানায় ডানায় মেঘের ভেতর সেসব কিছু ছড়িয়ে দেব।
২০.
শেষ ট্রেন চলে যায়? যাক।
কারো কারো তাড়া নেই, আধুলিও ভাড়া নেই,
কোথাও যাবোনা দেখে, একা থাকা প্ল্যাটফর্ম, ভীষণ অবাক!
২১.
এই যে লোকে লোকারণ্য শহর, সকাল - সন্ধ্যা ভিড়ভাট্টা জাগে,
তবুও এমন একলা লাগার মানে, একটা 'নিজের মানুষ' সবার লাগে!
২২.
এই যে এমন ঝলমলে রোদ-দিন, সন্ধ্যা হতেই ল্যাম্পপোস্টের আলো,
তবুও বুকের জমাট আঁধার জানে, নিজের একটা প্রদীপ থাকা ভালো।
২৩.
এই যে তুমুল বৃষ্টি নামে রোজ, ভিজছে শহর রোদের অপেক্ষায়,
তবুও কেন মেঘ জমেছে বুকে, ছলছল চোখ কার কী উপেক্ষায়!
২৪.
এই যে এমন বিচ্ছিরি এক দিনে, এই যে হঠাৎ বসন্ত দিন জাগে,
কান্না ক্লান্ত চোখের অশ্রু জানে, একটা 'নিজের মানুষ' সবার লাগে।
২৫.
এই যে সন্ধ্যা, তারার আকাশ, রাত্রির রঙ জানে,
কাছের মানুষ দূরে সরে যায়, কী গোপন অভিমানে!
আমরা জানিনা শুধু-
মেঘের ওপর মেঘ জমে জমে, দূরত্ব বাড়ে ধু ধু।
ধুসর কুয়াশা মুখ ঢেকে দেয়, ধুলো মোছে পদচিহ্ন,
আমরা জমাই হিসেবের খাতা, কার ক্ষত কত ভিন্ন!
অথচ জীবন জানে-
দূরে যাওয়া মানে কাছে আসবার, শপথ সঙ্গোপনে।
২৬.
জানি দুজনার পথ ভিন্ন,
তবু ফেলে যাই পদ চিহ্ন,
যদি পদরেখা কভু পদরেখা হয়ে
ঠিকানা করে অভিন্ন!
২৭।
আমি যত দূরে যাই, ততটা পেছাই, তোমারই কাছে, তুমি কতটা জানো, যা হয়নি জানানো, বুকে জমে আছে!
২৮.
রাতের আকাশ জানে, একাকী সে তারা,
আঁধারেই খসে পড়ে, খসুক,
নির্ঘুম রাত জানে, চোখের পাতায় জমে,
তোমাকে দেখার অসুখ!
২৯.
শোনো কাজল চোখের মেয়ে,
আমার দিবস কাটে, বিবশ হয়ে তোমার চোখে চেয়ে।
৩০.
কেউ নেই, তবু মাঝরাত্তিরে একা ল্যামপোস্ট জাগে-
' যদি কেউ আসে '
সে জেগে আছে, এই বিশ্বাসে!
৩১.
কাছে গেলে মনে হয়, এত কাছে যেতে নেই, কিছুটা দূরত্বই ভালো,
অথচ, কাছে যাবো যাবো করেই রাত্রি পোহালো!
৩২.
সেই মিছিলে, তুমিও কি ছিলে, নাকি ছিল একা কেউ? জেনে রেখ আজ, একা এ আওয়াজ, হবে শত সহস্র ঢেউ!
৩৩.
আমাকে হারাতে দিলে
নিখোঁজ বিজ্ঞপ্তিতে ছেয়ে যাবে
তোমার শহর!
৩৪.
যে হয়েছিল ভোর,
অথৈ আদর,
নামহীন নদী
একা লাগে যদি,
মনে রেক তাকে!
৩৫.
যেতে যেতেও ফিরে আসবার বাহানা কুড়াই,
স্মৃতি-গন্ধা, অচেনা সন্ধা, তোমাতে উড়াই!
৩৬.
এ হাওয়ায় কান পেতে শোন,
তোকে মনে পড়ছে ভীষণ!
৩৭.
গাঁয়ে ছুটছে মানুষ, সন্ধ্যে হলে পাখি যেমন ঘরের খোঁজে ছোটে,
ক্ষিধে বাড়ছে পেটে, তবুও দ্বিধা আটকে রাখছে মধ্যবিত্ত ঠোঁটে!”
৩৮.
মেঘের মতো ভার হয়ে রয় বুক,
মেঘের মতো থমথমে কী ব্যথা!
মেঘতো তবু বৃষ্টি হয়ে ঝরে,
আমার কেবল জমছে ব্যাকুলতা।
৩৯.
কিছুটা মেঘের মতো ছায়া যদি নামে,
কিছুটা বিষাদ আসে সন্ধ্যার খামে,
সকালের মিহি রোদ, রাত হয়ে যায়,
জেনে নিও, খুঁজে আর পাবেনা আমায়।
৪০.
অভিমানে চলে যেতে যেতেও, ফিরে আসতেই-
দেখি, তোমার দরোজা জুড়ে খিল।
কোথাও চিহ্ন নেই আমি যে ছিলাম,
কোথাও গন্ধ নেই, যা কিছু দিলাম,
অন্য হাসি-কলোরোলে, গৃহ ঝিলমিল।
যেতে যেতে মনে হয়, কোথায় যাবো?
তোমার মতো কোথাওতো আর কেউ নেই,
সকলেই বুকে পোষে নদী,
তবু সব নদীতে তো আর ঢেউ নেই!
২.
মিটে গেলে সব লেনদেন আর হয়ে গেলে সব শেষ,
তাকিয়ে দেখি, সহজ হিসেব ভুল করা অভ্যেস।
৩.
কোথাও একটা পোস্টবক্স নেই, অথচ বুকের ভেতর চিঠি জমে জমে মেঘের মিনার,
কোথাও একটা ঠিকানা নেই, অথচ নীল খাম জমে জমে, ভেসে যায় বুকের কিনার।
৪.
মেঘের মতো ভার হয়ে রয় বুক,
মেঘের মতো থমথমে কী ব্যথা!
মেঘ তো তবু বৃষ্টি হয়ে ঝরে,
আমার কেবল জমছে আকুলতা।
৫.
জানে শুধু জল, চোখ ছলছল
দায় নেই কারো তাই লুকায় আঁচল।
অভিমানী তুই, পাবি না কিছুই
মিছেমিছি মুছে যাবে চোখের কাজল।
৬.
কোথাও একটা পোস্টবক্স নেই, অথচ বুকের ভেতর চিঠি জমে জমে মেঘের মিনার,
কোথাও একটা ঠিকানা নেই, অথচ নীল খাম জমে জমে ভেসে যায় বুকের কিনার।
৭.
মানুষ কতকিছু জমায়!
পুরনো ডাকটিকেট, অচেনা আধুলি, স্মৃতির রুমাল,
অথচ আমি জমাই উপেক্ষা।
একজীবনে তোমার জন্য যতটা অপেক্ষা আমি বুকে পুষে রাখি, তার সব ফিরে আসে উপেক্ষা হয়ে।
আমি সেই উপেক্ষা জমাতে জমাতে পরিপূর্ণ হয়ে উঠি।
৮.
আমাকে হারাতে দিলে নিখোঁজ বিজ্ঞপ্তিতে ছেয়ে যাবে তোমার শহর!
৯.
আমি ভালো রয়েছি এখন,
নিভে গেলে আলো, জ্বেলে দেই মন।
১০.
মুখ গুঁজে রাখা উট পাখিদের ভীড়ে,
কে ওই তাকায় উঁচু করে তার গ্রীবা,
এখানে প্রলয় আসন গেড়েছে ভীষণ,
যায় যাক পুড়ে দেবালয়ও তাতে কী বা!
চোখ মুদে থাকি, বেঁধে রাখি মুখ,
বেঁচে থাকি একা একা,
আমার কলমে মরিচা পড়ুক, নিষিদ্ধ হোক লেখা।
১১.
বৃষ্টি লিখবো বলে, কাব্য-কৌতূহলে, শব্দ খুঁজি,
অথচ দু চোখ জানে, কী ভীষণ অভিমানে,
বৃষ্টি বলতে আমি তোমাকেই বুঝি!
১২.
তোমাতেই বাঁচি, জলে ভাসি, হাসি, তোমাতেই ভালোবাসি।
তোমাতেই দিন, জনমের ঋণ, তোমাতেই ফিরে আসি।
তোমাতেই ভাবি, তোমাতেই কাঁপি, তোমাতেই শুরু শেষ,
এ হৃদয় জানে, প্রার্থনা মানে, আমার বাংলাদেশ!
১৩.
এমন বিষণ্ণ দিন শেষে
যদি খানিক আঁধার এসে,
ভীষণ আপন হয়ে বসে
তোমার আঙুলগুলোর ফাঁকে?
তখন আমার আঙুল ছাড়া
তুমি খুঁজবে কোথায় কাকে?
১৪.
শোনো কাজল চোখের মেয়ে, আমি তোমার হবো ঠিক, তুমি ভীষণ অকূল পাথার, আমি একরোখা নাবিক।
১৫.
তাড়িয়ে দিয়ো আমায়, নিশুতিরাতের তারা,
তাড়িয়ে দিও আকাশ, তাড়িয়ে দিও মেঘ,
আমারও খুব পা বাড়িয়ে, হারিয়ে যাবার তাড়া।
রাত্রি বলেই অন্ধকারে, আমার ভীষণ ভয়,
যদি ভুলে যাওয়া স্মৃতির সাথে হঠাৎ দেখা হয়,
মানুষ জানে, বাড়লে রাত্রি, মানুষ একা হয়!
১৬.
আমি ভীষণ একলা থাকা মানুষ, আমি ভীষণ আমার ভেতর থাকি,
যত্ন করে খুব খেয়ালে রোজ, 'আমি'টাকে আমার ভেতর রাখি।
আমি ভীষণ স্মৃতির খেরোখাতা, মলাট জুড়ে হাজার আঁকিবুঁকি,
আমি ভীষণ একলা থাকা মানুষ, 'আমি''টাকে 'আমার' ভেতর রুখি।
১৭.
যারা স্বপ্নটা বারবার হেরে হেরে, হারিয়ে,
নীল-সাদা পতাকাটা তবু ধরে বাড়িয়ে,
আকাশের দিকে চেয়ে চুপি চুপি বলে যায়,
ভালোবাসা মানে হলো, যুক্তির 'বেলা' যায়।
তারা জানে ভাঙা মনও আড়চোখে যে তাকায়,
আকাশ কি সেজে আছে নীল-সাদা পতাকায়?
১৮.
আমি একদিন কান্না হবো
নীল আকাশের কষ্ট ছুয়ে সমুদ্দুরে বৃষ্টি হবো ।
হারিয়ে যাওয়া সেই তো ভালো
যেমন ছিলাম রোজ থেকেও -
তেমন করেই হারিয়ে যাবো
আমি একদিন নিঁখোজ হবো ।
১৯.
আমি একদিন পাখি হবো
একলা আকাশ একলা ডানায় চুপটি করে পাড়ি দেবো
সঙ্গে নেবো গোপন কথা,
ছোট্ট বুকের বিশাল ব্যথা
ডানায় ডানায় মেঘের ভেতর সেসব কিছু ছড়িয়ে দেব।
২০.
শেষ ট্রেন চলে যায়? যাক।
কারো কারো তাড়া নেই, আধুলিও ভাড়া নেই,
কোথাও যাবোনা দেখে, একা থাকা প্ল্যাটফর্ম, ভীষণ অবাক!
২১.
এই যে লোকে লোকারণ্য শহর, সকাল - সন্ধ্যা ভিড়ভাট্টা জাগে,
তবুও এমন একলা লাগার মানে, একটা 'নিজের মানুষ' সবার লাগে!
২২.
এই যে এমন ঝলমলে রোদ-দিন, সন্ধ্যা হতেই ল্যাম্পপোস্টের আলো,
তবুও বুকের জমাট আঁধার জানে, নিজের একটা প্রদীপ থাকা ভালো।
২৩.
এই যে তুমুল বৃষ্টি নামে রোজ, ভিজছে শহর রোদের অপেক্ষায়,
তবুও কেন মেঘ জমেছে বুকে, ছলছল চোখ কার কী উপেক্ষায়!
২৪.
এই যে এমন বিচ্ছিরি এক দিনে, এই যে হঠাৎ বসন্ত দিন জাগে,
কান্না ক্লান্ত চোখের অশ্রু জানে, একটা 'নিজের মানুষ' সবার লাগে।
২৫.
এই যে সন্ধ্যা, তারার আকাশ, রাত্রির রঙ জানে,
কাছের মানুষ দূরে সরে যায়, কী গোপন অভিমানে!
আমরা জানিনা শুধু-
মেঘের ওপর মেঘ জমে জমে, দূরত্ব বাড়ে ধু ধু।
ধুসর কুয়াশা মুখ ঢেকে দেয়, ধুলো মোছে পদচিহ্ন,
আমরা জমাই হিসেবের খাতা, কার ক্ষত কত ভিন্ন!
অথচ জীবন জানে-
দূরে যাওয়া মানে কাছে আসবার, শপথ সঙ্গোপনে।
২৬.
জানি দুজনার পথ ভিন্ন,
তবু ফেলে যাই পদ চিহ্ন,
যদি পদরেখা কভু পদরেখা হয়ে
ঠিকানা করে অভিন্ন!
২৭।
আমি যত দূরে যাই, ততটা পেছাই, তোমারই কাছে, তুমি কতটা জানো, যা হয়নি জানানো, বুকে জমে আছে!
২৮.
রাতের আকাশ জানে, একাকী সে তারা,
আঁধারেই খসে পড়ে, খসুক,
নির্ঘুম রাত জানে, চোখের পাতায় জমে,
তোমাকে দেখার অসুখ!
২৯.
শোনো কাজল চোখের মেয়ে,
আমার দিবস কাটে, বিবশ হয়ে তোমার চোখে চেয়ে।
৩০.
কেউ নেই, তবু মাঝরাত্তিরে একা ল্যামপোস্ট জাগে-
' যদি কেউ আসে '
সে জেগে আছে, এই বিশ্বাসে!
৩১.
কাছে গেলে মনে হয়, এত কাছে যেতে নেই, কিছুটা দূরত্বই ভালো,
অথচ, কাছে যাবো যাবো করেই রাত্রি পোহালো!
৩২.
সেই মিছিলে, তুমিও কি ছিলে, নাকি ছিল একা কেউ? জেনে রেখ আজ, একা এ আওয়াজ, হবে শত সহস্র ঢেউ!
৩৩.
আমাকে হারাতে দিলে
নিখোঁজ বিজ্ঞপ্তিতে ছেয়ে যাবে
তোমার শহর!
৩৪.
যে হয়েছিল ভোর,
অথৈ আদর,
নামহীন নদী
একা লাগে যদি,
মনে রেক তাকে!
৩৫.
যেতে যেতেও ফিরে আসবার বাহানা কুড়াই,
স্মৃতি-গন্ধা, অচেনা সন্ধা, তোমাতে উড়াই!
৩৬.
এ হাওয়ায় কান পেতে শোন,
তোকে মনে পড়ছে ভীষণ!
৩৭.
গাঁয়ে ছুটছে মানুষ, সন্ধ্যে হলে পাখি যেমন ঘরের খোঁজে ছোটে,
ক্ষিধে বাড়ছে পেটে, তবুও দ্বিধা আটকে রাখছে মধ্যবিত্ত ঠোঁটে!”
৩৮.
মেঘের মতো ভার হয়ে রয় বুক,
মেঘের মতো থমথমে কী ব্যথা!
মেঘতো তবু বৃষ্টি হয়ে ঝরে,
আমার কেবল জমছে ব্যাকুলতা।
৩৯.
কিছুটা মেঘের মতো ছায়া যদি নামে,
কিছুটা বিষাদ আসে সন্ধ্যার খামে,
সকালের মিহি রোদ, রাত হয়ে যায়,
জেনে নিও, খুঁজে আর পাবেনা আমায়।
৪০.
অভিমানে চলে যেতে যেতেও, ফিরে আসতেই-
দেখি, তোমার দরোজা জুড়ে খিল।
কোথাও চিহ্ন নেই আমি যে ছিলাম,
কোথাও গন্ধ নেই, যা কিছু দিলাম,
অন্য হাসি-কলোরোলে, গৃহ ঝিলমিল।
0 মন্তব্যসমূহ